নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে বেরিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। রেগে আগুন নবান্ন। পুলিশের কাজেও তাঁরা হস্তক্ষেপ করছেন বলে উঠে এসেছে জবর খবর। আর জি কর-এর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে সেখানে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। সবটা খতিয়ে দেখে এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরূদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে নবান্ন। যা জেনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন সাধারণ মানুষ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশের ‘সহযোগী’, পুলিশ নয়। রাজ্যে পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম থাকায়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ তাঁরা যেন পুলিশের উপরেই উঠে গিয়েছেন। পুলিশও নাকি নিজেদের কাজ তাঁদের ঘাড়ে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে থাকছে।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে যে আইন আছে তা উপেক্ষা করা হচ্ছে। এখন অধিকাংশ থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারাই ভরসা। তাঁরা এখন তদন্তের কাজে যুক্ত হচ্ছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন পোর্টালে ডেটা আপলোডও করছেন। আর এর মধ্যে একটাও কাজ তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য নতুন কী নির্দেশ?
সিভিক ভলান্টিয়ারদের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমত বিপাকে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগও বাড়ছে। আর জি কর কান্ডে এক জনের নামও জড়িয়েছে। তাই এবার সবটা সামলে নিতেই তৎপর সরকার। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে:-
1) সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও তল্লাশিতে যেতে পারবেন না।
2) থানায় জিডি করা বা তদন্ত সংক্রান্ত কোনও ফাইল তাঁরা দেখবেন না।
এখানেই শেষ নয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সরকারি নির্দেশিকা তৈরি হচ্ছে নতুন করে। আর কোনও হের ফের যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে ওই নির্দেশিকায় ভলান্টিয়ারদের কাজ বা দায়িত্ব স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
এটাও পড়ুনঃ শেষ বয়সে আর চিন্তা নেই! প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে ঢুকবে, কীভাবে পাবেন জানুন
আর জি কর কাণ্ডে কীভাবে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার
আরজি কর ঘটনায় যে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উঠে এসেছে, তিনি নাকি কলকাতা পুলিশের লোগো নিজের মোটরবাইকে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে নিয়মিত যেতেন তিনি।
বলা হচ্ছে, অভিযুক্তদের নানা তথ্য পাচার করা হত গোপনে। কেস ডায়েরিও হাতফেরি হয়েছে অর্থের বিনিময়ে। এমন পরিস্থিতি সামলে উঠতেই তদন্তের পাশাপাশি নির্দেশিকাও আনছে রাজ্য।