10 টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া 2022 | New Top 10 Business Ideas in Bengali 2022

আপনি কি নতুন কোনো ব্যবসার আইডিয়া খুজছেন অথবা নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে নতুন এমন ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া (New Business Idea) সম্পর্কে আলোচনা করবো যেগুলোর বর্তমানে দারুন চাহিদা রয়েছে।

এই ব্যবসার আইডিয়া গুলো বাস্তবে শুরু করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আর কিছু কিছু ব্যবসার জন্য শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছাশক্তির দরকার পড়বে। আমার মনে হয় আপনার যে ব্যবসার প্রতি বেশি ইন্টারেস্ট থাকবে সেটি শুরু করা ভালো।

আপনার পছন্দ করা ব্যবাসার জন্য যদি কোনো দক্ষতা বা স্কিলের দরকার হয় তাহলে সেটি আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই শিখে নিতে পারবেন। আর আপনার পছন্দ করা ব্যবসার জন্য কোনো স্কিলের প্রয়োজন না হলে এক্ষুনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করে দিতে পারবেন।

New Top 10 Business Ideas in Bengali 2022

এইবার আমরা নতুন 10 টি ব্যবসা সম্পর্কে জানবো। এগুলি 2022 সালে যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে শুরু করে দেওয়া যাবে। বর্তমান প্রগতিশীল ভারতে এই সমস্ত ব্যবসা গুলির দারুন স্কোপ রয়েছে।

নতুন লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া 2022

আজকের দিনে ভারতের মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করেই আমরা নতুন ১০ টি ব্যবসাকে নির্বাচন করেছি। সমস্ত ব্যবসাগুলিই যে আপনাকে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আসল কথা হচ্ছে এর মধ্যে আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যবসাটিকে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।

আরো একটি কথা বলে রাখি, নিচে বলা ১০ টি ব্যবসার আইডিয়ার কোনোটিই আপনার পছন্দ না হতেও। সেক্ষেত্রে আপনি আমাদের অন্য আর্টিকেলে বলা ব্যবসার আইডিয়া গুলি থেকে আরো ব্যবাসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

নিচে পরপর যে 10 টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আমরা জানিয়েছি সেগুলিতে বর্তমানে দারুন সুযোগ রয়েছে। আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন ১০ টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলি পরপর জেনে নেওয়া যাক।

(1) মার্কেটিং সার্ভিস (Marketing Services)

বেশিরভাগ ব্যবসার মালিকেরা বর্তমানে তাদের ব্যবসার উন্নতির জন্য অনলাইন মাধ্যমকেই কাজে লাগাচ্ছে। আর যেকারনে তারা ডিজিটাল মার্কেটিং কে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু কোনো একটি ব্যবসার মালিকের কাছে তাদের ব্যবসার মার্কেটিং করার মতো যথেষ্ট জ্ঞান এবং সময় থাকে না। তাই তারা কোনো মার্কেটিং এক্সপার্টকে মার্কেটিং করার কাজে লাগায়।

তাই আপনি যদি মার্কেটিং স্কিল শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটিং সার্ভিস দিয়ে টাকা ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন। কয়েক মাস সময় নিজে থেকেই মার্কেটিং কাজ করার পর কিছু টাকা ইনকাম করে এবং যথেষ্ট টাকা হাতে নিয়ে নিজের মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করতে পারেন।

আপনি আপনার নিজের মার্কেটিং সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করে দেবেন। এতে দক্ষ কিছু মার্কেটারদের আপনাকে নিয়োগ করতে হবে। আপনার কাজ হবে ক্লায়েন্ট জোগাড় করা এবং আপনার কর্মচারীদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া।

(2) ইভেন্ট প্ল্যানিং (Event Planning)

আপনার যদি যেকোনো অনুষ্ঠান পরিচালনা করার দক্ষতা থাকে অথবা কোনো অনুষ্ঠানকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আপনি ইভেন্ট প্যানিং এর ব্যবাসায় ঢুকতে পারেন।

ইভেন্ট প্ল্যানিং বলতে, বিয়ে থেকে শুরু করে কোনো কোম্পানির পার্টি ইভেন্ট, বার্থডে পার্টি ইত্যাদি ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান গুলি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিচালনাকে বোঝায়।

আপনি আপনার বাড়ির আশেআশে যেকোনো অনুষ্ঠানের প্ল্যানিং থেকে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে দিনের দিনের পর আপনার দক্ষতা বাড়তে থাকলে প্রয়োজনীয় টাকা হাতে নিয়ে কিছু লোককে সাথে নিয়ে ইভেন্ট প্ল্যানিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে ইভেন্ট প্ল্যানিং এর ব্যবসার চাহিদা বাড়তে চলেছে।

(3) ফটোগ্রাফি (Photography)

একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হতে পারলে প্রতি মাসে একটা মোটা অঙ্কের টাকা ইনকাম করা কোনো ব্যাপারই না। বিয়ে বাড়িতে, কর্পোরেট অনুষ্ঠানে, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে একজন ফটোগ্রাফারের দারুন চাহিদা রয়েছে।

ফটোগ্রাফির ব্যবসা কোনোভাবেই বাড়িতে থেকে করা যায় না। তাই এই কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ভালো সুযোগ থেকেই যায়। যারা বিভিন্ন জায়গায় যেতে বা ঘুরতে পছন্দ করে তাদের জন্য এই কাজ সোনায় সোগাহার মতো।

কয়েক বছর বিভিন্ন জায়গায় ফটোগ্রাফি করে পরিচিতি বাড়িয়ে নিয়ে আপনি নিজের একটি ভালো স্টুডিও খুলতে পারেন। সেখানে কিছু লোককে নিয়োগ করে বড়ো মানের ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বড়ো ব্যবসা মানে মোটা টাকা, কথাটা মাথায় রাখবেন।

(4) গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic Design)

কারো যদি ছবি আকার এবং বিভিন্ন নক্সা তৈরি করার দক্ষতা থাকে তাহলে সে সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করতে পারবে। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো করে শিখতে হবে। ছবি না আকতে পারলেই এই কাজ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকতে হবে।

বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে ভিডিও, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি কাজের বৃদ্ধি ঘটায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদাও বেড়েছে। Video Creator, ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটার ইত্যাদি পেশার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা তাদের কাজের প্রয়োজনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সন্ধান করে থাকে।

আপনি যদি একবার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ঠিকমতো কাজ করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি চাইলে আপনার দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভালো ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।

(5) বিজনেস কনসাল্টিং (Business Consulting)

বিজনেস কনসাল্টিং অর্থাৎ ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসেবেও আপনি আপনার ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। আপনার যদি কোনো ব্যবসাকে বড়ো করার দক্ষতা জানা থাকে অথবা ব্যসবাসায়িক ক্ষেত্রে আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনার জন্য বিজনেস কনসাল্টিং পারফেক্ট হবে।

লোকে আপনার কাছে ব্যবসায়িক জ্ঞান নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকবে। বর্তমানে এমন অনেক বিজনেস কোচ রয়েছে যারা প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।

আপনি বিভিন্ন বিজনেস ইন্ড্রাস্ট্রির সেমিনারে একজন বিজনেস কনসাল্টিং বা ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসবে যোগ দিয়ে ভাষন দিতে পারেন। প্রতি সেমিনারে ভাষন দেওয়ার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চার্জ করবেন।

বিজনেস কনসাল্টিং এর ব্যবসা করার জন্য ব্যবসার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যদি এগুলো আপনার না থাকে তাহলে ব্যবসায়িক এবং এই সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পড়ে আপনি আপনার জ্ঞান বাড়াতে পারেন। পড়াশোনার জন্য আপনাকে কিছু সময় দিতে হবে। যখন আপনার মনে হবে আপনি বিজনেস কনসাল্টিং করতে পারবেন তখন নিজের ব্যবসা শুরু করে দেবেন।

(6) ভিডিও প্রোডাকশন (Video Production)

আপনার কি ভিডিও রেকর্ডিং করতে, ছবি তুলতে ভালো লাগে? তাহলে ভিডিও প্রোডাকশনের ব্যবসা আপনার জন্য ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া বলে গণ্য হতে পারে। এখন ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে ভিডিওর দারুন চাহিদা রয়েছে।

ভিডিও রেকর্ডিং এবং শুটিং এর পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজানিং এর দক্ষতা থাকলে ভিডিও প্রোডাকশনের জন্য দরকারি সমস্ত দক্ষতা ফুলফিল হয়ে যাবে। আপনি আপনার দক্ষতা বা স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও প্রোডাকশনের ব্যবসা পুরোদমে শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজ হবে ক্লায়েন্ট খুজে বার করা। কয়েক মাস বা কয়েক বছর একাই কাজ করতে পারেন। যখন আপনার মনে হবে আপনার কাছে প্রচুর কাজ আসছে এবং একটা টিম থাকলে আপনি আপনার ব্যবসাকে আরো বড়ো করতে পারেন তখন কিছু দক্ষ লোককে নিয়োগ (Hire) করবেন। আর আপনার ভিডিও প্রোডাকশনের ব্যবসা রমরমিয়ে চলবে।

(7) মুদিখানার ব্যবসা (Grocery Business)

এটিও একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া। কেননা বিভিন্ন দোকানের ব্যবসার মধ্যে মুদিখানার বা Grocery ব্যবসাতে বিক্রি বেশি এবং বেশি বিক্রি থাকায় লাভও বেশি। আমাদের বাড়িতে সাবান, চানাচুর, লবন ইত্যাদি সহ কত রকমের দ্রব্য ব্যবহার করি একবার ভেবে দেখুন। আর এগুলো প্রায় প্রতিদিনই আমরা কিনে থাকি।

সকলেই তাদের দরকারি দ্রব্য গুলি মুদিখানার দোকানে গিয়ে কিনে থাকে। তাই অনেক দোকান থাকা সত্বেও এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি চাইলে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে একটি মুদিখানার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পরে ব্যবসাকে আরো বড়ো করতে হবে এবং পারলে পাইকারি বিক্রি শুরু করতে হবে।

একবার যদি পাইকারি বিক্রি বেশি হতে শুরু হয় তাহলে কি পরিমান লাভ হবে তা কল্পনা করা মুশকিল। বাজারে তো অনেক পাইকারি মুদিখানার ব্যবসা আছে তাহলে আপনি বিক্রি কিভাবে করবেন। এটা একটা প্রশ্ন।

প্রথমে আপনাকে আপনার কাস্টোমারদের আকৃষ্ট করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের কিছুটা কম দামে বিক্রি শুরু করুন। পরিচিতি বাড়ান, ভালো ব্যবাহার করুন। আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। কাস্টোমাররা নিজে থেকেই আপনার কাছে বারবার আসবে।

(8) পার্সোনাল ট্রেনার- ফিটনেস ইন্সট্রাকটার (Personal Trainer- Fitness Instructor)

শারীরিক ফিটনেস এর বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান থাকে বা জিম করার বিভিন্ন উপায় এবং মাধ্যমগুলি সম্পর্কে আপনার বিশেষ জ্ঞান থাকে তাহলে একজন ফিটনেস ট্রেনারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

এরজন্য আপনাকে একজন লাইসেন্স প্রাপ্ত পার্সোনাল ট্রেনার বা ফিটনেস ট্রেনার হতে হবে। পার্সোনালি কারো বাড়ি গিয়েও আপনি ফিটনেস ট্রেনিং করাতে পারেন।

সবথেকে ভালো হয় নিজের একটি জিম খোলা। জিমেই ফিটনেস এর ট্রেনিং করানো যাবে। একটু জনবহুল জায়গায় জিম খুলে সেখানে কয়েকজন ফিটনেস ট্রানারদের নিয়োগ করে ভালো ফিটনেস ট্রেনিং এর ব্যবসা শুরু করা যাবে।

(9) কপিরাইটিং এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন (Copywriting and Content Creation)

আপনি যদি কোনো একটি বিষয়কে শব্দের মাধ্যমে সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন তাহলে কপিরাইটিং আপনার জন্য দারুন একটি কাজ হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সময়ে কপিরাইটিং এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন দারুন একটি স্কিল। আর এই স্কিলকে কাজে লাগিয়ে নিজের একটি ব্যবসা গড়ে তোলা কঠিন কোনো ব্যাপার না।

কপিরাইটিং মূলত কোনো অ্যাড (Ad) এর জন্য লেখা হয়ে থাকে। এমন ভাবে কপিরাইটিং করতে হয় যেন গ্রাহকরা ঐ অ্যাডের উপর ক্লিক করে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় (Purchase) করে। বিভিন্ন ব্লগার, ইউটিউবার, ডিজিটাল মার্কেটার, ইবুক রাইটার দের সাথে কপিরাইটিং কাজ শুরু করা যায়।

(10) বিউটি সার্ভিস (Beauty Service)

বিউটি সার্ভিস মূলত মেক আপের পরিষেবাকে বোঝায়। নিজের একটি বিউটি পার্লার বা Brick-and-Mortar-Saloon খুলে বিউটি সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করা যায়। এখনকার দিনে এর চাহিদা কিরুপ তা আলাদা করে বলার কিছু নেই।

Cosmetology-তে গ্র্যাজুয়েট বা স্নাতক পাশ করে আপনি চাইলেই এই ব্যবসায় পা রাখতে পারেন। সেইসাথে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল বানিয়ে তাতে বিউটি টিপস এর ভিডিও বানিয়েও আপলোড করে গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। ইউটিউব থেকে যে ইনকাম হবে সেটা তো থাকছেই।

সবশেষে,

আশা করছি নতুন ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার পছন্দ হয়েছে। যতটা সম্ভব সহজ করে বিষয়গুলি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই ব্যবসার আইডিয়া গুলি থেকে নতুন কিছু জানতে পেরে থাকেন তাহলে আজকের এই লেখাটির উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

অনলাইন ইনকামের বিভিন্ন উপায়, নতুন কোনো ব্যবসার আইডিয়া, রোজগারের উপায় ইত্যাদি বিষয়ে জানাতে আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করি। আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।