সাইড ইনকাম করার 12 টি উপায়- বাড়ি থেকেই শুরু করা যাবে এইসব কাজ | Side Income Ideas- Work from Home

সাইড ইনকাম করার 12 টি উপায় সম্পর্কে জানবো আজকের এই আর্টিকেলে। প্রথমেই জেনে রাখুন, যেকেও চাইলে এই সমস্ত কাজ গুলি এক্সট্রা টাইমে বা অবসর টাইমে করতে পারেন। সে হোক স্টুডেন্ট, সরকারি বা বেসরকারি কোনো চাকরিজীবি।

দিনে কোনো ফুলটাইম কাজ অথবা চাকরি (Job) করার পাশাপাশি সাইড ইনকামের এই সমস্ত কাজ গুলি করা যাবে। একটা সময়ে যখন সাইড ইনকামের কাজ থেকে ভালো টাকা ইনকাম শুরু হতে শুরু করবে তখন চাইলে আপনি আপনার সাইড ইনকামের কাজটিকে ফুল টাইম কাজ হিসেবে নিতে পারেন।

আমি আপনাকে একটা কথার গ্যারান্টি দিচ্ছি নিচে বলা ১২ টি সাইড ইনকামের কাজ আপনি যদি ১ থেকে ২ বছর রেগুলার সময় ধরে করতে থাকেন তাহলে এই কাজ থেকে আপনার ফুল টাইম কাজের থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

Work From Home 12 Side Income Ideas

এখনকার ডিজিটাল সস্তার ইন্টারনেটের যুগে অনলাইনে ইনকাম করা কঠিন কোনো বিষয় না। আপনি চাইলেই বাড়িতে বসেই সময় বের এই সমস্ত কাজগুলি করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য আপনাকে উক্ত কাজের জন্য সময় বের করে বিস্তারিত শিখতে থাকতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত শিখতে থাকেন এবং কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনাকে টাকা ইনকাম করা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।

সাইড ইনকাম করার উপায় (Side Income Ideas in Bengali)

আমরা ১২ টি এমন কাজকে বেছে নিয়েছি যেগুলো সাইড ইনকামের জন্য শুরু করা যাবে। এমন অনেক লোক আছেন যারা তাদের প্রধান কাজের পাশাপাশি অন্য কোনো কাজ করে এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে চায়। তাদের মধ্যে যদি আপনিও একজন হয়ে থাকেন তাহলে তো দারুন ব্যপার।

আর যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট কাজ না থাকে এবং আপনি যদি একটি রেগুলার ইনকাম করার উপায় খুজছেন তাহলে আরো ভালো কথা। আপনার জন্য আরো দারুন সুযোগ থাকছে টাকা ইনকাম করার।

আপনি নিচে দেওয়া ১২ টি কাজের মধ্যে যেকোনো একটিকে নির্বাচন করে শিখতে এবং কাজ করতে শুরু করুন। রেগুলার কাজ করতে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

(1) কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing)

বাড়ি থেকেই সাইড ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং করা। আপনার যদি কোনো বিষয়ে লিখতে ভালো লাগে তাহলে আপনি এটি খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং আলাদা করে শিখে নিয়ে এই কাজ ঘরে বসেই শুরু করা যায়।

ক্লায়েন্টদের জন্য আপনি ব্রান্ড রাইটিং, প্রফেশনাল রাইটিং, প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং সহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে পারবেন। শুধু ভারতের ক্লায়েন্ট নয়, ইন্টারন্যাশনাল অর্থাৎ অন্য কোনো দেশের ক্লায়েন্টদের জন্যও কনটেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে শব্দ পিছু বা প্যারাগ্রাফ পিছু বা গোটা আর্টিকেল পিছু আপনি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চার্জ করতে পারেন। 500-2000 শব্দের কনটেন্ট লেখার জন্য আপনি 2 হাজার টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারবেন।

(2) গ্রাফিক্স ডিজাইন (Graphic Design)

আপনি এখন কনটেন্ট ক্রিয়েশনের যুগে রয়েছেন। আপনার কাছে একটি প্রশ্ন- আপনি দিনে কতবার বা কত ঘণ্টা মোবাইলে সময় দেন। সেটা হতে পারে ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম।

এগুলিতে অবশ্যই আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, পোস্টার বা ছবি, রিলস, লোগো ইত্যাদি দেখে থাকেন। আর এখানেই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ চলে আসে। একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটার ভালো কোন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের খোঁজ করে। তাই আপনিও যদি এই কাজ শিখে নেন তাহলে বাড়িতে থেকেই কাজ শুরু করতে পারবেন।

আপনি চাইলে কোনো কোম্পানি বা কনটেন্ট ক্রিয়েটারের সাথে স্যালারি ভিত্তিতে বা প্রোজেক্ট পিছু টাকা নিতে পারবেন।

(3) কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট (Content Management)

কোনো কোম্পানি বা কোনো ব্যাক্তি (Individual) তাদের বিভিন্ন কনটেন্ট গুলিকে সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম যেমন- ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদিতে সঠিক সময়ে পাবলিশ করে থাকে। আর এই কাজের জন্য তাদের ভালো একজন কনটেন্ট ম্যানেজারের প্রয়োজন হয়।

কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট বলতে বিভিন্ন কনটেন্টগুলিকে সঠিক সময়ে Schedule করে নির্দিষ্ট কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পাবলিশ করাকে বোঝায়।

সঠিকভাবে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভালো করে বুঝতে হবে।

(4) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)

ছোটো-মাঝারি ব্যবসা, বিভিন্ন ক্রিয়েটারদের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর দরকার হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল কোনো কোম্পানির কাস্টোমারদের সাপোর্ট দেওয়া। এই কাজটি বাড়িতে থেকেও করা যায়।

এর জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজের স্কিল শিখতে হবে। তারপর এমন কোনো কোম্পানির সন্ধান করতে হবে যারা একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর খোঁজ করছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে মাসিক টাকা ঠিক করে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

(5) NFTs

অনেকেই আছেন যারা NFTs শব্দটি প্রথম বারের জন্য শুনলেন। তাই আমি প্রথমেই জানিয়ে রাখি NTFs কি?

NFTs এর সম্পূর্ণ নাম হল, Non-Fungible Tokens. এক কথায়, NFTs হল ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেটি সম্পূর্ন Unique বা অনন্য। একটি উদাহরনের সাহায্যে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছি।

ধরুন আপনার কাছে এবং আপনার বন্ধুর কাছে ১০ টাকার কড়কড়ে নোট আছে। আপনারা এটি অদলবদল করলেন। কোনো পার্থক্য বা আপনাদের কোনো সমস্যা হল কি।

এইবার ধরুন আপনি আপনার ঐ ১০ টাকার নোটে বিরাট কোহলির সিগনেচার (Signature) করালেন। এইবার ১০ টাকার নোটটি কি আপনি অদলবদল করবেন? একদম না। আর এই কনসেপ্ট এর উপরেই NTFs এর সূচনা হয়েছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটারদের জন্য NFTs দারুনভাবে কাজে আসবে। আপনিও চাইলে আপনার ট্যালেন্টের মাধ্যমে কোনো ডিজিটাল প্রোডাক্ট বানিয়ে NFTs আকারে Sell বা Distribute করতে পারেন।

NFTs এর সুচনা হয়ে গিয়েছে এবং এটি সম্পূর্ন নতুন কনসেপ্ট এর উপরে গড়ে ওঠায় এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দারুন রয়েছে। আপনি যদি এই সম্পর্কে আরো ভালো করে জানতে চান তাহলে গুগলে বা ইউটিউবে গিয়ে What in NFT? লিখে সার্চ করতে পারেন।

(6) অডিও এডিটর (Audio Editor)

বর্তমানে পডকাস্ট (Podcast) এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেইসাথে বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটাররাও তাদের ভিডিওর সাউন্ড কুয়ালিটি ভালো করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এইজন্যই তাদের একজন ভালো এবং দক্ষ অডিও এডিটরের দরকার পড়ছে।

আপনি যদি তাদের এই অডিও এডিটিং এর কাজ করে দেন তাহলে তার বিনিময়ে তারা আপনাকে ভালো অঙ্কের টাকা দিতে প্রস্তুত। এই কাজ আপনি চাইলে একদম বাড়িতে থেকেই শুরু করতে পারেন। ইন্টারনেটের এই সময়ে বেশিরভাগ কাজই বাড়ি থেকে করা সম্ভব।

তাই আপনি যদি একজন অডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতে চান তাও আবার বাড়ি থেকে তাহলে আপনাকে প্রথমেই অডিও এডিটরের কাজ শিখতে হবে।

(7) ভিডিও এডিটিং (Video Editing)

ভিডিও এডিটিং এর কাজ সম্পর্কে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি। এখনকার সময়ে এমনকি আগামী বছরেও ভিডিও এডিটিং এর কাজের চাহিদা থাকবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা আমরা মোবাইলে ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও দেখতেই বেশি পছন্দ করি। তাই সোজা কথায় ভিডিও এর চাহিদা যত বাড়বে ভিডিও এডিটিং এর কাজের প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর কাজের প্রতি ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে এক মাসের মধ্যেই বেসিক নলেজ নিয়ে ছোটো খাটো কোনো প্রোজেক্টে কাজ শুরু করতে পারেন।

কম্পিউটারে Adobe Premiere Pro, Wondershare Filmora এর সাহায্যে এবং মোবাইলে Kinemaster, CyberLink Action Director, Adobe Premiere Clip ইত্যাদি অ্যাপের সাহায্যে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন।

(8) ট্রান্সক্রিপশন (Transcription)

প্রথমেই জানিয়ে রাখি ট্রান্সক্রিপশন কি। কোনো ভিডিও বা অডিও কনটেন্টকে লিখিত আকারে প্রকাশ করাকেই ট্রান্সক্রিপশন বলে। এরজন্য একাধিক ভাষার জ্ঞান থাকতে হয়।

ইংরেজি ভাষার বা হিন্দি ভাষার কোনো ভিডিও বা অডিও কনটেন্টকে বাংলা ভাষায় অথবা হিন্দি বা বাংলা ভাষার কোনো কনটেন্টকে ইংরেজি ভাষায় ট্রান্সক্রিপশন করতে হয়। এক কথায় ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ করতে হলে আপনাকে একের বেশি ভাষা শিখতে হবে।

এই কাজ শুরু করতে চাইলে আপনি একাধিক ভাষা শিখতে পারেন। আর যদি আপনি একাধিক ভাষা আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আজ থেকেই বাড়িতে বসেই যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটারের জন্য ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ চালু করে দিতে পারেন।

(9) রেফার এবং আর্ন (Refer and Earn)

বাড়ি থেকে সাইড ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে Refer and Earn পদ্ধতি। ভালো কথা হচ্ছে, এই কাজের জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কিছু শেখার দরকার নেই।

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নতুন কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করানোর জন্য, তাদের সার্ভিসের ট্রানজকশন করানোর জন্য, প্রোডাক্ট সেল করার জন্য অথবা রিভিউ করার জন্য Refer and Earn পদ্ধতি চালু করে থাকে।

তাদের এই কাজে সাহায্য করার জন্য ঐ নির্দিষ্ট কোম্পানি আপনাকে কমিশন রূপে কিছু টাকা দিয়ে থাকে। Swagbucks, Taskbucks ইত্যাদি অ্যাপে Refer and Earn এর কাজ করা যায়।

এছাড়াও আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলিতে Refer and Earn কাজের জন্য ভালো অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকে। যেমন- Upstox, Grow, Meesho ইত্যাদি।

এই কাজগুলি অল্প সময়ের জন্য কিছু টাকা ইনকামের জন্য ভালো মাধ্যম। কিন্তু ভবিষ্যতেও যে এই কাজ করে রেগুলার টাকা ইনকাম করা যাবে এমন কোনো গ্যরান্টি নেই। তাই অল্প সময়ে ভালো কিছু টাকা ইনকাম করতে চাইলে এই কাজটি ট্রাই করতেই পারেন।

(10) পেইড নিউজ লেটার (Paid News Letter)

কনটেন্ট ক্রিয়েটারের কাজের সাথে যদি আপনি যুক্ত হয়ে থাকেন বা আগামী দিনে এই কাজ করতে চান তাহলে পেইড নিউজ লেটার এর মাধ্যমে মোটা টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকছে। আর এর জন্য আপনাকে বাড়ি থেকে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। এইবার বিষয়টা ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

আপনি হয়ত কোনো ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইউটিউব, টেলিগ্রাম চ্যানেল বা ফেসবুকে পেজ চালাচ্ছেন। সেখানে নিয়মিত আপনার পছন্দের টপিক (Niche) অনুযায়ী কনটেন্ট পাবলিশ করেন। একটা সময়ে আপনি Valuable বা হাই কুয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করার চিন্তা করলেন।

তাই আপনি একটি অঙ্কের টাকা সাবক্রিপশন হিসেবে চার্জ করা শুরু করবেন। অর্থাৎ যারা সাবক্রিপশন নেবে কেবলমাত্র তারাই আপনার এই সমস্ত রিসার্চ বেসড ভ্যালুয়েবল কনটেন্ট দেখতে পাবে।

(11) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

ঘরে বসে বা বাড়িতে থেকে সাইড ইনকাম করার কথা হচ্ছে আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা বলা হবে না এমনটা হতেই পারে না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি কাজ যা আপনি ফুল টাইম হিসেবেও করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে অন্যের কোনো প্রডাক্ট সেল করা। এটি একটি কমিশন ভিত্তিক ইনকাম মেথড। কমিশনের কথা শুনেই একে তুচ্ছ কাজ মনে করলে আপনি চরম ভুল করবেন।

এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করেই অনেক লোকেই লক্ষ লক্ষ এমনকি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। এই কাজের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সেটা জানতে পারলেই এই কাজ বাড়ি থেকেই শুরু করা যায়।

আপনি চাইলেই ইন্টারনেট অর্থাৎ ইউটিউব বা গুগল থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেসিক নলেজ নিয়ে এর কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

(12) অনলাইন টিউটরিং (Online Tutoring)

আপনি কি শেখাতে ভালোবাসেন? তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে টিউটরিং (Tutoring) করে টাকা ইনকাম করার বিশাল সুযোগ থাকছে। তবে এর জন্য বিশেষ কোনো বিষয়ে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। আর যদি না হয়ে থাকেন তাহলেও একটি উপায় আছে, বলছি।

ধরুন আপনি অঙ্কে ভালো বা ভালো ছবি আঁকতে পারেন অথবা ব্যবসা (Business) এর বিষয়ে ভালো বোঝেন অথবা অন্য কোনো বিষয়ে বিশেষ দক্ষ (Skilled)। এমন অবস্থায় আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এবং ফেসবুকে শেখাতে শুরু করতে পারেন।

এইবার আসি আপনি কোনো বিষয়েই দক্ষ না হলে কি করবেন। এক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো বিষয়ে শিখতে হবে। এর জন্য কয়েকদিন ইন্টারনেট ঘাটঘাটি করুন এবং কোন বিষয়ে আপনি শেখাতে পারবেন সেটা খুজে বার করুন। তারপর সেটার পিছনে কয়েকমাস সময় দিন।

একবার আপনি আপনার পছন্দের বিষয়ে দক্ষ হয়ে গেলে তা ইন্টারনেটে অনলাইনে শেখাতে আরম্ভ করে দিন। একবার ইন্টারনেট (Youtube, Facebook)-এ পরিচিত হতে পারলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার থেকে আপনাকে আর আটকায় কে।

সবশেষে,

বাড়িতে থেকেই সাইড ইনকাম করা নিয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ হলো। আশা করছি আজকের এই বিষয় থেকে আপনি অনেক নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। আপনিও যদি সাইড ইনকাম করার কথা ভাবছেন তাহলে উপরে বলা ১২ টি কাজের মধ্যে যেকোনো একটিতে কাজ শুরু করতে পারেন।

নির্দিষ্ট একটি কাজ করতে চাইলে প্রথমেই আপনি ঐ কাজ সম্পর্কে ইন্টারনেট অর্থাৎ ইউটিউব বা গুগল থেকে ভালো করে জেনে ও শিখে নেবেন। ভালো করে না শিখে কাজ শুরু করলে সেই কাজ আপনি বেশি দিন চালিয়ে যেতে পারবেন না।

মনে রাখবেন, একাধিক কাজ করার থেকে যেকোনো একটি কাজ ফোকাসের সাথে করা অধিক ফলদায়ী।

এইধরনের ইনকাম করা নিয়ে, ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এবং টাকা পয়সার বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য জানতে চাইলে আবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন।

Leave a Comment